রাজশাহী:
রাজশাহীতে সাইকেল মেরামতের দোকানে বিদ্যুৎ বিল দেয়া হয়েছে এক কোটি ছয় লাখ ২৪ টাকা। মঙ্গলবার সকালে নগরীর মতিহার সাইকেল গ্যারেজ নামের একটি দোকানে আগস্ট মাসের ওই বিদ্যুৎ বিলটি দেয়া হয়। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, ভুলঃবশত হিসেবে গড়মিল হয়েছে। অফিসে বিলটি জমা দিলেই তা ঠিক করে দেয়া হবে।
মতিহার সাইকেল গ্যারেজের মালিক আইয়ুব আলী জানান, নগরীর মতিহার থানার মাসকাটাদিঘী এলাকায় তার ভাই আশরাফুল আলমের নামে ২২২৬৫৪ নম্বরের একটি মিটার রয়েছে। ওই মিটারে আইয়ুব আলী মতিহার সাইকেল গ্যারেজ নামের একটি দোকান চালান। প্রতিমাসে তার ১৭শ’ থেকে ১৮শ’ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে। জুন মাসে হঠাৎ তা বেড়ে হয় ২ হাজার ৬শ’ টাকা। কিন্তু জুলাই আসে তা অনেক কমে হয় ১৪২টাকা। বিল হাতে পেয়ে তিনি রাজশাহী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মিটার রিডার খোশ মোহাম্মদকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানান। পরে খোশ মোহাম্মদ তার কাছে এসে জুন মাসের বিলটি নিয়ে যান এবং আগস্ট মাসের বিলের সঙ্গে সমন্বয় করে নতুন বিল দেয়ার কথা বলেন। মঙ্গলবার সকালে আগস্ট মাসের সংশোধিত করা বিল দেয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। বিলের কপি হাতে পেয়ে অবাক হন তিনি। এতে দেখা যায় বর্তমান ইউনিট ৪ হাজার ৯৭৫ ও পূর্বের ইউনিট ৫ হাজার ১৪৫। সেই অনুযায়ি মোট ব্যবহৃত ইউনিট হওয়ার কথা ১৭০। কিন্তু বিলে উল্লেখ করা হয়েছে ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৮৩০ ইউনিট। ফলে আগস্ট মাসের বিল গিয়ে দাঁড়ায় এক কোটি ৬ লাখ ২৪টাকা।
এদিকে, ভুতুড়ে বিলের বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অনেকেই বিলটি দেখার জন্য আসেন।
গ্রাহকদের অভিযোগ, কোন কোন মিটার রিডার প্রতিমাসে একই রিডিং অনুযায়ী বিল প্রস্তুত করে থাকেন। মিটার রিডারদের অপতৎপরতার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করা হলে তারা সেটি আমলে নিচ্ছে না। অভিযোগ রয়েছে, মিটারে প্রদর্শিত রিডিংয়ের চেয়েও বেশি রিডিং দেখিয়ে বিল করা হচ্ছে। এ কারনে কারও কারও বিল বেশি হচ্ছে।
রাজশাহী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোস্তাজিুর রহমান জানান, বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে যদি এ ধরণের কোনো ভূল হয়ে থাকে, বিলটি অফিসের নিয়ে আনলেই সংশোধন করে দেয়া হবে।